দিল্লির ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে বড় ধাক্কা খেল দেশের অন্যতম বিশ্বস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক SBI। ১১ বছর আগের একটি গ্রাহক অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিচারক স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন—ব্যাঙ্ককে ফুল রিফান্ড দিতে হবে, সঙ্গে বছর প্রতি ১০ শতাংশ হারে সুদ। এছাড়াও মামলাকারী গ্রাহকের মানসিক যন্ত্রণা ও দীর্ঘদিন আইনি লড়াইয়ের খরচ বাবদ আরও ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ব্যাঙ্ককে।
কী হয়েছিল সেইদিন?
ঘটনা ১১ বছর আগের। এক SBI গ্রাহক গুয়াহাটিতে ঘুরতে গিয়ে ATM থেকে ১ হাজার টাকা তোলার চেষ্টা করেন। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে টাকা মেশিন থেকে বের হয়নি। এরপর তিনি পাশের অন্য একটি ব্যাঙ্কের ATM-এ গিয়ে আবার টাকা তোলেন। টাকা হাতে পেলেও সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে মেসেজ আসে যে ২০ হাজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। অথচ তিনি মোটেও এত টাকা তোলেননি।
তৎক্ষণাৎ বিষয়টি SBI-কে জানানোর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি। অবশেষে তিনি দিল্লি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন। শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই, যার রায় এল এক দশক পর। আদালতের নির্দেশ কী? SBI-কে গ্রাহকের চুরি যাওয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে। তার উপর বছর প্রতি ১০% হারে সুদ, অর্থাৎ ১১ বছরের জন্য অতিরিক্ত অর্থ। আইনি লড়াইয়ের খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকা ও মানসিক চাপের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে।