পহলগামে জঙ্গি হামলার পর, ভারতের কঠোর সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের অর্থনীতিকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। হামলার পরপরই ভারত পাকিস্তানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রভাব পড়েছে সরাসরি পাকিস্তানের রপ্তানি ও আমদানি খাতে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল পাকিস্তানি পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোর ভারতীয় বন্দরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে আসা বা পাকিস্তানি পণ্য বহনকারী যেকোনো জাহাজ ভারতের কোনো বন্দরে ঢুকতে পারছে না। ফলে পাকিস্তানকে বিকল্প রুট খুঁজে নিতে বাধ্য করা হয়েছে, যার ফলে পরিবহন খরচ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে এবং পণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরিও হচ্ছে।
Read more – ডাকাতির ছক বানচাল করলো বর্ধমান থানার পুলিশ,বাজেয়াপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র,গ্রেফতার ৪ দুষ্কৃতী
এই বিষয়ে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন একটি বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবহন সময় এখন আগের তুলনায় প্রায় ৩০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত বাড়ছে। পাকিস্তানের করাচি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি জাভেদ বিলওয়ানি জানিয়েছেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মালবাহী জাহাজ পাকিস্তানে আসছে না। ফলে পাকিস্তান এখন ফিডার জাহাজের উপর নির্ভর করছে, যা অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
শুধু পরিবহন খরচ নয়, বেড়েছে বীমা খরচও। বিলওয়ানি জানান, শিপিং কোম্পানিগুলো ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এখন পাকিস্তানে পণ্য আনার জন্য অতিরিক্ত চার্জ নিচ্ছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা চাপে পড়েছেন। তবে তিনি এটাও উল্লেখ করেন, সামগ্রিক রপ্তানি এখনও পর্যন্ত বড় ধরণের ক্ষতির মুখে না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব পড়তে বাধ্য।এখন নজর থাকবে পাকিস্তান সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। তারা কি ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করবে? নাকি রাজনৈতিক