ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (FICCI)-র এক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করলেন ভারতের এক শীর্ষ সেনা আধিকারিক, রাহুল। তিনি জানালেন, পাকিস্তানের ভিতরে ৯টি জঙ্গিঘাঁটি চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ২১টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত হয়, তার মধ্য থেকে ৯টিকে হামলার জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
Read more – আমেরিকার নতুন এশিয়া কৌশল: আমেরিকার ভারত পাশে, চীন-পাকিস্তান চাপে!
রাহুল জানান, “আমাদের সামনে ছিল তিনটি প্রতিপক্ষ—পাকিস্তান, চিন ও তুরস্ক। পাকিস্তানকে সামরিক দিক থেকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছে চিন, যার কাছ থেকে তারা ৮১ শতাংশ অস্ত্র আমদানি করে। চিন আসলে পাকিস্তানকে লাইভ ল্যাবরেটরির মতো ব্যবহার করে। পাশাপাশি, তুরস্কও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল পাকিস্তানকে সহায়তায়।”
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। এরপর ৬ মে রাতে ভারত চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, যাতে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয়। পাকিস্তানও পাল্টা প্রত্যাঘাত করে, এবং দুই দেশের মধ্যে চারদিন ধরে তীব্র সংঘর্ষ চলে। অবশেষে ১০ মে দুই পক্ষ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে পাকিস্তানে চিন অস্ত্র বিক্রি করেছে প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের। শুধু ২০২০-২০২৪ সালেই পাকিস্তান ছিল চিনের অস্ত্র রফতানির ৬৩ শতাংশের গন্তব্য।
এই অস্ত্রই ব্যবহার হয়েছে ভারত-পাক সংঘাতে। ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, জেনারেল অনিল চৌহান স্বীকার করেছেন, এই সংঘাতে ভারতের যুদ্ধবিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও তার নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। এই পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে, এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত বিশ্লেষকদের।