এক নিম্নচাপ সরতেই ফের আরেক নিম্নচাপের হুঁশিয়ারি। দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন ধরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপ বর্তমানে অবস্থান করছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।
তা এগোচ্ছে ঝাড়খণ্ডের দিকে, তবে পরে তা ওড়িশার দিকেও মোড় নিতে পারে। এরই প্রভাবে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা এবং একটি পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা, যার ফলে আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ – দুই বাংলাতেই বৃষ্টির দাপট চলবে। বুধবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের শুরু হবে ভারী বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
Read more – বিজ্ঞান নিয়ে এল চিরযৌবনের চাবিকাঠি! বয়স কি সত্যিই থামানো যায়?
শুক্রবার বৃষ্টি আরও ছড়িয়ে পড়বে— পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
শনিবার পরিস্থিতি আরও ঘোরালো। দক্ষিণবঙ্গের আটটি জেলায়— পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, হুগলি এবং দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা থাকছে। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
রবিবার ও সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। তবে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা, এবং হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে বিক্ষিপ্তভাবে প্রায় সব জেলাতেই। উত্তরবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ ওপরের পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বুধবার পর্যন্ত। নিচের দিকের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে জুন মাসে দক্ষিণবঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব বর্ধমানে। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কিছুটা ঘাটতি দেখা গেছে— শুধুমাত্র মালদা জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। জলপথ বা উপকূল সংলগ্ন এলাকায় অতি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ এড়িয়ে চলার বার্তাও দিয়েছে প্রশাসন।