চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ যদি জোট বাঁধার পরিকল্পনায় এগোয়, তাহলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত ভারসাম্য বদলে যেতে পারে। আর এই সম্ভাবনাকেই মাথায় রেখে আমেরিকা স্পষ্ট বার্তা দিল—এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের প্রধান কৌশলগত মিত্র হলো ভারত।
Read more – চাকরিচ্যুত শিক্ষাকর্মীদের জন্য ভাতা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ভারত আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়।” এই মন্তব্য শুধুমাত্র কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং বিশেষজ্ঞদের মতে এটি সরাসরি চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্ভাব্য জোটকে বার্তা দেওয়ার কৌশল। প্রেস সেক্রেটারির বক্তব্য অনুযায়ী, ভারত-আমেরিকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত।
এখন চুক্তির শর্তাবলী চূড়ান্ত করার কাজ চলছে, যা হয়ে গেলে প্রেসিডেন্ট নিজেই তা ঘোষণা করবেন। সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকেও আলোচনা হয়েছে ওয়াশিংটনে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শুরুতেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তি শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও গভীর করবে না, বরং কৌশলগত দিক থেকেও চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে চাপের মধ্যে ফেলবে।
বর্তমান ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে ভারত ও আমেরিকার কাছাকাছি আসা এই তিন দেশের জোটকে কার্যত চাপে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। শেষ কথা, দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় ভারতের ভূমিকা এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ। আর আমেরিকার প্রকাশ্য সমর্থন যে চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ জোটকে সতর্ক বার্তা দিল, তা বলাই যায়।