নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। এই হঠাৎ সাক্ষাৎ ঘিরে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে—তাহলে কি রাজ্যে ফের বিনিয়োগ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী?
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তাঁর এক্স (প্রাক্তন টুইটার) অ্যাকাউন্টে এই বৈঠকের ভিডিও শেয়ার করেন। পোস্টে জানানো হয়, রাজ্যে টাটা গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ এবং ব্যবসা প্রসার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠকে ঠিক কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছিল টাটা গোষ্ঠী। সিঙ্গুরে তৈরি হচ্ছিল ‘ন্যানো’ প্রকল্পের কারখানা—রতন টাটার স্বপ্নের প্রকল্প।
কিন্তু জমি আন্দোলনের মুখে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। দাবি উঠেছিল, কৃষিজমিতে জোর করে জমি নেওয়া হচ্ছে অনিচ্ছুক চাষিদের কাছ থেকে। সেই সময় আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলন এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর টাটা গোষ্ঠী সিঙ্গুর ছেড়ে গুজরাটের সানন্দে স্থানান্তরিত করে ন্যানো প্রকল্প। বিদায় বেলায় আক্ষেপের সুরে রতন টাটা বলেন, “দুই বছর আগে বলেছিলাম, কেউ যদি মাথায় বন্দুক ঠেকায়, তাও সরব না। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, ট্রিগারে চাপটাই দিয়েছেন মিস ব্যানার্জি।” এই প্রেক্ষাপটে আজকের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। ফের কি বরফ গলছে? নতুন করে কি বাংলায় বিনিয়োগ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী? এখন নজর ভবিষ্যতের দিকেই।