গলসি সরকারি যোজনা দক্ষিণবঙ্গ উত্তরবঙ্গ ক্রাইম আবহাওয়া কৃষি কাজ বিনোদন স্বাস্থ্য টেকআড্ডা কর্ম-খালি দেশ-বিদেশ মিউচুয়াল ফান্ড আধ্যাত্মিক অন্যান্য

---Advertisement---

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি নিয়ে বড় ধাক্কা সইফ আলি খান পরিবারে ! আদালতে ‘শত্রুসম্পত্তি’ বিতর্কে নতুন মোড়

Published : July 8, 2025
---Advertisement---

সইফ আলি খান ও তাঁর পরিবারের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের রায়। ভোপাল ও রায়সেন জেলার প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ওপর তাঁদের উত্তরাধিকারের দাবি খারিজ করে দিল আদালত। এই মামলা ঘিরে আইনি টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। নবাব হামিদুল্লাহ খানের বংশধর হিসেবে সইফ, তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর, এবং দুই বোন সোহা ও সাবা দাবি করেছিলেন, এই বিপুল সম্পত্তি তাঁদের পূর্বপুরুষের এবং তাঁরা তার বৈধ উত্তরাধিকারী। কিন্তু সরকার এই সম্পত্তিকে ঘোষণা করেছে ‘শত্রুসম্পত্তি’, আর সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে জটিলতা।

Read More –ভারত-ঘানা সম্পর্ক আরও জোরদার, রেয়ার আর্থ খনিজে চীনকে কড়া বার্তা মোদীর

১৯৬৮ সালের ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’ অনুযায়ী, দেশভাগের সময় যাঁরা পাকিস্তানে বা চিনে চলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ভারতে রেখে যাওয়া সম্পত্তি সরকারের অধিগৃহীত হতে পারে এবং তা ‘শত্রুসম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য হয়। এই আইনের ভিত্তিতেই প্রশ্ন উঠেছে ভোপালের নবাবের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে। নবাব হামিদুল্লাহ খানের তিন কন্যার মধ্যে বড় মেয়ে আবিদা সুলতান পাকিস্তানে চলে যান। এরপর ভারত সরকার নবাবের মেজ মেয়ে সাজিদা সুলতানকে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সাজিদাই ছিলেন সইফ আলি খানের দাদি। ১৯৯৫ সালে সাজিদার মৃত্যুর পর তাঁর অংশের সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পৌঁছে যায় সইফ, সোহা, সাবা এবং তাঁদের মায়ের কাছে।

২০০০ সালে এক জেলা আদালত এই উত্তরাধিকার স্বীকার করে নেয়। কিন্তু সরকারের তরফে দাবি করা হয়, যেহেতু নবাবের প্রথম উত্তরাধিকারী পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন, তাই পুরো সম্পত্তি ‘শত্রুসম্পত্তি’ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এই যুক্তিতেই ২০১৫ সালে ‘কাস্টোডিয়ান অফ এনিমি প্রপার্টি ইন ইন্ডিয়া’ (CEPI) থেকে একটি নোটিশ দিয়ে সম্পত্তিগুলিকে শত্রুসম্পত্তি ঘোষণা করা হয়। এরপর সইফ ও তাঁর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হন।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট সম্প্রতি জানায়, জেলা আদালতের ২০০০ সালের রায় এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি মামলার রেফারেন্স অনুসরণ করলেও, এই মামলার অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি পর্যাপ্তভাবে বিবেচনা করা হয়নি। ফলে সেই রায় খারিজ করে মামলাটি ফের জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং আগামী এক বছরের মধ্যে শুনানি শেষ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এই রায়ের ফলে সইফ আলি খান এবং তাঁর পরিবারের সামনে এখন আরও কঠিন আইনি লড়াই অপেক্ষা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু পতৌদি পরিবারের সম্পত্তিই নয়, এই মামলার রায় দেশের বহু বিতর্কিত ‘শত্রুসম্পত্তি’-র ভবিষ্যত নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিহাস, আইন ও উত্তরাধিকারের এই জটিল দ্বন্দ্বের মীমাংসা এখন আদালতের হাতে।

Join WhatsApp

Join Now

Join Telegram

Join Now