মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসে স্কুলে ফেরার ভাবনা শুরু করেছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে ওএমআর ইস্যুর শিক্ষকরা। বেশ কয়েকজন স্কুলে যাওয়া শুরুও করেছিলেন। কিন্তু তাদের ফের থমকে দিল জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছে পাঠানো তালিকা। চিহ্নিত অযোগ্য নন, এমন শিক্ষকদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে তাদের কাছে। সেখানে ওএমআর ইস্যুর শিক্ষকদের নাম নেই। তবে কী তাঁদের অযোগ্যদের তালিকায় ফেলে দিল এসএসসি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন তাঁরা। তাই এসএসসির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
ওএমআর ইস্যুর শিক্ষক শিক্ষিকারা বলছেন, সিবিআইয়ের উদ্ধার করা ওএমআর বৈধতা পায়নি। সে কারণে সুপ্রিম কোর্টও তাদের অবৈধ ঘোষনা করেনি। সেকথা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁর রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, একদল বলছে এই ওএমআর আমাদের। আর এক পক্ষ বলছে এই ওএমআর তাদের নয়। এই মতামতের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, এসএসসি বরাবর জানিয়ে এসেছে তাদের কাছে ওএমআর বা তার মিরর ইমেজ কিছুই নেই। সেসব কারণে 1212 জনকে চিহ্নিত অযোগ্য বলা হলেও সেই তালিকায় ওএমআর ইস্যুকে রাখা হয়নি। তাহলে তাদের কিভাবে এখন তালিকার বাইরে রাখা হচ্ছে?
তাঁরা বলছেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন সতেরো হাজার দুশ ছ জন যোগ্য। এই সংখ্যাটা তারা সুপ্রিম কোর্টেও জানিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট তাদের নিয়ে 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালাতে বলেছেন। এরপর এসএসসি তাদের বাদ দিচ্ছে কিভাবে? তাছাড়া হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য অযোগ্য তালিকা তৈরি করতে পারেনি। এসএসসিকেও তারা সেই তালিকা তৈরি করতে বলেনি। তাহলে এসএসসি তা করল কীভাবে? এতো আদালত অবমাননার সামিল।
ওই শিক্ষকদের বক্তব্য, এসএসসি ভুল করেছে, তার দায় আমরা কেন নেব? তাছাড়া কোন প্রমানের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের দেওয়া তথ্য মেনে নিচ্ছে তারা? তাদের সার্ভারে থাকা নম্বর তারা মেনে নিতে পারছে না কেন? শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, রিভিউ পিটিশনের আগে কোনও যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশিত হবে না। সুপ্রিম কোর্ট তা বলেওনি।তারপরও এসএসসির সেই পথে হাঁটলো কেন? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে স্কুলে যেতে আবেদন করছেন সেখানে এসএসসি বা স্কুল শিক্ষা দফতর অন্যরকম কাজ করছেন কিভাবে?