নিমন্ত্রণ বাড়িতে খাওয়া দেওয়ায় অনিয়ম হয়েই যায়। এরপর শুরু হয় পেট আঁইঢাঁই। অম্বল বদহজমে ভোগেন অনেকেই। তখন একমাত্র ভরসা অ্যান্টাসিড। কিন্তু অনেকে ঘরের ডালভাত খেয়েও দিনের পর দিন গ্যাস অম্বলে ভুগছেন। সমস্যা যেন তাঁদের পিছু ছাড়ছে না। তবে ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ওয়াই ভালো। কারণ তাতে শরীরের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হতে পারে। কিছু নিয়ম মেনে চলুন, তাতেই গ্যাস অম্বল থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। দিনে চারবার খেতেই হবে। দুবার হালকা, দুবার অপেক্ষাকৃত ভারি খাবার। তাড়াহুড়ো করে খাবেন না। অনেকে খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খান না। হজম ক্ষমতা ঠিক রাখতে যে কোনও খাবার চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন। ভালভাবে চিবোলে নানা উৎসেচক যোগ হয়ে খাবারকে সহজপাচ্য করে তোলে। পাচকরস খাবারকে সঠিকভাবে হজম করতে সাহায্য করে।
মনে রাখবেন,সকলের শরীরের ধরন এক রকম নয়। তাই আপনার কোন খাবার সহ্য হচ্ছে না, তা নিজেকেই বুঝতে হবে। যেমন দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার হলেও সকলে সহজে হজম করতে পারে না। সেক্ষেত্রে দুধের বিকল্প হিসেবে দই খেতে পারেন। এতে অন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। ক্যালশিয়াম ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এটি হজমে সাহায্য করে। খাদ্যতালিকায় আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখুন। আঁশযুক্ত খাবার সহজে জল শোষণ করে। তা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত শাকসবজি, ফল, স্যালাড, চিয়া সিড, ইসবগুল খেতে পারেন। জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে, এমন ফল ও সবজি, যেমন তরমুজ, শসা, টমেটো, লাউ ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় বেশি রাখুন।খালি পেটে চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। হজমের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত তেল, ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি এড়িয়ে চলুন।খাবার হজম করতে জলের ভূমিকা অপরিসীম। রোজ ১০-১২ গ্লাস জল পান করুন। তবে খাওয়ার আগে এবং খাওয়ার মধ্যে অতিরিক্ত জল পান করবেন না। এতে হজমের সমস্যা বাড়তে পারে।রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খাওয়ার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান।